top of page

কিছু কথা 

স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময়ই ভারতের শাসনকর্তৃত্ব ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কুক্ষিগত ছিল। অন্যদিকে রাজ্যগুলির রাজনীতিতে প্রাধান্য বিস্তার করে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) (সিপিআই(এম)) প্রভৃতি জাতীয় দল ও একাধিক আঞ্চলিক পার্টি।

 

সর্বভারতীয় দল বলতে হাতে গোনা কয়েকটি দল৷ তাই কেন্দ্রে ও রাজ্যে সরকার টিকিয়ে রাখতে আঞ্চলিক দলগুলির ভূমিকা অনস্বীকার্য৷ ভারতের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনেও এসব দলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা৷

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস, উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, পাঞ্জাবে আকালি দল, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে, ডিএমকে, ওড়িষ্যায় বিজু জনতা দলের মতো আঞ্চলিক দলগুলো অতীতেও বিভিন্ন সময়ে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক আলোচনায় এসেছে৷

 

কেন্দ্রে বা রাজ্যগুলিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে সরকার গঠনের দিন আর নেই৷ শুরু হয়েছে জোট সরকার গঠনের পালা৷ সেজন্য জাতীয় পর্যায়ের দলগুলোর আঞ্চলিক দলগুলির হাত না ধরে উপায় নেই৷ নির্বাচনের আগে বা পরে গাটছড়া বাঁধতে হয়৷ বর্তমানে ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে জোট সরকার তাই একটা দস্তুর৷ ভারতের কয়েক দশক ধরেই আঞ্চলিক দলগুলোর শক্তিবৃদ্ধি ঘটেছে।

 

বিগত বেশ কয়েকটা কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি হয়েছে তাদেরই সমর্থনের ওপরে ভিত্তি করে।

 

তাদের আঞ্চলিক আশা-আকাঙ্খা জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আর এবারের লোকসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলোই নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুভ্রকান্তি চট্টোপাধ্যায়
সম্পাদক - চিত্রোক্তি

bottom of page