ঈশ্বরের মুখ
ডাঃ ব্রতীন রায়ের মায়ের আজ শ্রাদ্ধ শান্তি অনুষ্ঠান। বেশ ধুমধাম করে সমস্ত কিছু আয়োজন করেছেন উনি।প্রচুর মানুষ আমন্ত্রিত। শহরের সবচেয়ে নামী ক্যাটারারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খরচে কোন কার্পন্য করেননি। করবার প্রয়োজনও নেই। স্বামী স্ত্রী দুজনেই চিকিৎসক। নিজেদের নার্সিং হোম আছে। এক্কেবারে উচ্চবিত্ত পরিবার।
এই অঢেল আয়োজন তৃপ্তি ভরে দেখতে দেখতে দশ বছরের ছেলে আর্যকে বললেন, আমি মরে গেলেও এইরকম জাকজমক ভাবে শ্রাদ্ধ শান্তি করতে হবে তোকে, দেখে রাখ। পারবি তো? ছোট্ট আর্য কিছু না বুঝেই বলল, পারবো বাবি, ঠিক পারবো।আর তোমরা যেমন ঠাম্মি খেতে চাইলে খেতে দিতে না বকা দিতে। তেমনি আমিও তোমাকে খেতে না দিয়ে খুব বকা দেব। ব্রতীনবাবু এই ধরনের উত্তর প্রত্যাশা করেন নি। ছেলেকে প্রচন্ড ধমক দিয়ে বললেন, কি সব আজেবাজে কথা বলছিস, অসভ্য কোথাকার! এক্কেবারে বাঁদর হয়ে গেছিস।
পাশে দাঁড়িয়ে ডাঃ সেন বললেন, আহা ডাঃ রায় ও বাচ্চা ছেলে ওকে ধমক দিচ্ছেন কেন! শিশুরা তো ঈশ্বর। ওদের মুখে ঈশ্বর বাস করেন, ওরা মিথ্যে বলে না। ওরা যা দেখে সেটাই বলে।
Commentaires